Home » 2011 » January » 12 » গ্রেনেড বোমার গঠন এবং এটি যেভাবে কাজ করে
8:43 PM
গ্রেনেড বোমার গঠন এবং এটি যেভাবে কাজ করে

গ্রেনেড বোমার গঠন এবং এটি যেভাবে কাজ করে

লেখাটি আপনার পছন্দ হয়েছে?

হাজার বছর আগে চাইনিজদের আবিস্কৃত গান পাউডার বদলে দেয় সমরাস্ত্রের ধরন। তখনকার দিনে গ্রেনেড বোমায় ব্যবহৃত হত গান পাউডার। তবে সেগুলো খুব একটা উন্নতমানের এবং নির্ভরযোগ্য ছিলনা। আর সকল প্রযুক্তির সাথে সাথে গ্রেনেডেরও উন্নয়ন ঘটানো হয়। ধীরে ধীরে এক সময় এসে এটি পূর্নতা পায়। বর্তমানে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় এবং নির্ভরযোগ্য একটি অস্ত্র।

কার্যপ্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে গ্রেনেড প্রধানত দুই ধরনেরঃ

Time-Delay Grenade

এই ধরনের গ্রেনেডকে হ্যান্ড গ্রেনেডও বলা হয়। ১৯ শতকের ভয়াবহ যুদ্ধ সমূহে এ জাতীয় গ্রেনেড ব্যপক হারে ব্যবহৃত হয়েছে। টাইম ডিলেয় গ্রেনেড গুলো সাধারনত সেফটি পিন খুলে হাত দিয়ে ছুঁড়ে মারা হয় এবং একটি নির্দিস্ট সময় পর এটি বিস্ফোরিত হয়। এই সময়টি সাধারনত হয় ৩-৪ সেকেন্ড। তবে কোন কারনে ভিতরের রাসায়নিক পদার্থের গুনগতমানের পরিবর্তন ঘটলে এই সময় কম-বেশি ২-৮ সেকেন্ড হতে পারে।

time delay grenade

যেভাবে কাজ করেঃ Time-Delay গ্রেনেডগুলো সাধারনত খাঁজকাটা লোহার ধারক দিয়ে তৈরি হয়। এর ভেতরে একটি ফিউজ মেকানিজম থাকে এবং বাকি অংশে থাকে বিস্ফোরক পদার্থ। ফিউজ মেকানিজম সক্রিয় করার জন্য থাকে একটি Striker যেটি Striker Lever দিয়ে আটকানো থাকে। আর লিভারটি ধরে রাখার জন্য এতে লাগানো থাকে একটি নিরাপত্তা পিন। পিনটি খুলে দিলে Striker কে ধরে থাকা লিভারটি চাপমুক্ত হয় এবং Striker ছুটে গিয়ে আঘাত করে Percussion Cap এ। এরপর এটি কেমিক্যাল মেকানিজমকে সক্রিয় করে দেয় যা কয়েক সেকেন্ড পর ডেটোনেটরকে সক্রিয় করে। ডেটোনেটর গ্রেনেড এর ভেতরে থাকা বিস্ফোরক পদার্থ সমূহকে ডেটোনেট করে এবং বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।

Impact Grenade

এ জাতীয় গ্রেনেড এর কার্যপ্রক্রিয়া অনেকটা উড়োজাহাজ থেকে ছুঁড়ে মারা বোমার মত। অর্থাৎ এই গ্রেনেড টার্গেটকে স্পর্শ করার পর পরই বিস্ফোরিত হয়। Impact Grenade হাত দিয়ে নিক্ষেপ করা হয় না। এটি সাধারনত গ্রেনেড লাঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়াও এক ধরনের মেশিনগান রয়েছে যেটিতে সাধারন বুলেট এর বদলে ব্যবহৃত হয় ইম্প্যাক্ট গ্রেনেড বুলেট!

যেভাবে কাজ করেঃ Impact Grenade এর সম্মুখভাগে Impact Trigger নামে একটি অংশ থাকে এবং এটি স্প্রীং দিয়ে মূল কাঠামোর সাথে সংযুক্ত করা থাকে। গ্রেনেড যখন নিক্ষেপ করা হয় তখন Percussion Cap এবং Detonator কে ধরে থাকা স্প্রীংটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। গ্রেনেডের সামনের অংশ অর্থাৎ ইমপ্যাক্ট ট্রিগার যখন টার্গেটকে স্পর্শ করে তখন এর সাথে লাগানো Firing Pin টি Percussion Cap কে আঘাত করে এবং ডেটনেটরটি সক্রিয় হয়ে মূল বিস্ফোরককে ডিটোনেট করে দেয়। তারপরই গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়। এই গ্রনেড টাইম ডিলেয় গ্রনেড এর মত সময় নেয় না, বরং টার্গেটকে আঘাত করার সাথে সাথেই বিস্ফোরিত হয়।

মূলত এই দুই ধরনের গ্রেনেডই রয়েছে এবং এর কার্যপ্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে আরও বিভিন্ন ধরনের গ্রেনেড তৈরি করা হয়।

এই পোস্টে মূলত গ্রনেড কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে ধারনা দিতে চেস্টা করেছি আমার সীমিত জ্ঞান থেকে। তবে মারনাস্ত্র তৈরি ও এ সম্পর্কিত গবেষনাকে আমি বরাবরই ঘৃনা করি। এগুলো একটি সভ্যতাকে ধংস করে দেয়ার হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়।

Views: 549 | Added by: zazafee | Rating: 0.0/0
Total comments: 0
Name *:
Email *:
Code *: