আসুন ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত ডিভাইস সমূহ সম্পর্কে জানি
লেখাটি আপনার পছন্দ হয়েছে?
আমাদের চারিদিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ইন্সট্রুমেন্ট
দেখতে পাই যেগুলো নিজে নিজেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বেশ কিছু কাজ করতে পারে।
আপনার কম্পিউটারটি প্রোগ্রাম এর বিভিন্ন ইন্সট্রাকশন বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে বিভিন্ন জটিল কার্য সম্পাদন করে, এমনকি অন্যান্য ডিভাইসকে
পর্যন্ত চালনা করতে পারে, ট্যাম্পারেচার ডিটেক্টরটি তাপমাত্রা পরিমাপ করে
জানিয়ে দেয়, টেলিভিশনের টাইমারটি নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে
টেলিভিশনকে বন্ধ করতে সাহায্য করে, আপনার ডিজিটাল টাইম ক্লকটি সঠিক সময়ে
এলার্ম দিয়ে আপনার ঘুম ভাঙিয়ে দেয়, UPS টি বা IPS টি স্বয়ংক্রিয় ভাবে
বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যকআপ ব্যটারী থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করে,
খেলনা গাড়িটি সামনের বাঁধা নির্ণয় করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তার গতিপথ পরিবর্তন
করে চলতে পারে। এছাড়া রোবট নামক যন্ত্রমানব মানুষের কথা পর্যন্ত বুঝতে
পারে, চেহারা দেখে চিনতে পারে । এ সবই সম্ভব হয়েছে ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরির
মাধ্যমে।
ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত ডিভাইস সমূহ:
ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে প্রধান ডিভাইস হিসেবে মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, এবং PLC ব্যবহৃত হয়।
মাইক্রোপ্রসেসর:
ইলেকট্রনিক
ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় ডিভাইসটি হল মাইক্রোপ্রসেসর। যা একটি
প্রোগ্রামেবল ইন্ট্রিগেটেড চিপ ডিভাইস। মাইক্রোপ্রসেসর ইনপুট পোর্টের
মাধ্যমে সংগ্রিহিত ডাটা প্রক্রিয়াকরণ এবং গানিতিকভাবে বিশ্লেষণ করে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আউটপুটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য
নির্দেশ প্রদান করে। একে মাইক্রোকম্পিউটারের হৃদপিন্ড বলা হয়। কম্পিউটারের
গতি মাইক্রোপ্রসেসরের ডাটা ট্রান্সফার এবং ইন্সট্রাকশন এক্সিকিউশনের গতির
উপর নির্ভর করে।
মাইক্রোকন্ট্রোলার:
মাইক্রোকন্ট্রোলার একটি সিঙ্গেল চিপ প্রোগ্রামেবল ইন্ট্রিগেটেড ডিভাইস।
এর অভ্যন্তরেই মাইক্রোপ্রসেসর, নির্দিষ্ট পরিমাণ RAM, ROM, টাইমার,
কাউন্টার ইমবেডেড অবস্থায় থাকে।এ কারনেই মাইক্রোকন্ট্রোলারকে সিঙ্গেল চিপ
মাইক্রোকম্পিউটার বলা হয়। এটি মাইক্রোকম্পিউটারের চেয়েও দ্রুত এবং অল্প
বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কাজ করতে পারে। এটি প্রোগ্রামেবল অর্থাৎ একে এসেমব্লি
এবং হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম করা যায়। তাই বর্তমানে
ছোট এবং মাঝারী আকারের কন্ট্রোলিং সিস্টেমে , রোবটে , বিভিন্ন ধরণের খেলনা,
UPS, IPS এর কন্ট্রোল সিস্টেমে , সিকিউরিটি সিস্টেমে ব্যপকভাবে ব্যবহৃত
হচ্ছে। বাংলাদেশেও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক রোবটিক্স ডেভলপমেন্ট এর যে কাজ
গুলো হচ্ছে সেখানেও মাইক্রোকন্ট্রোলারকে ব্রেইন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পি এল সি :
PLC হল Programmable Logic Controller । এটি
এক প্রকার মাইক্রোপ্রসেসর বেইজ কন্ট্রোল সিস্টেম। এতে একটি প্রোগ্রামেবল
মেমরি থাকে এই মেমরিতে বিভিন্ন প্রকার ইন্সট্রাকশন স্টোর করা থাকে, যার
মাধ্যমে গানিতিক লজিক্যাল, টাইমিং, সিকুয়েন্সিং ইত্যাদি কার্যাবলী সম্পাদন
করা হয়। এটি মূলত মাইক্রোকন্ট্রোলারের অনুরূপ কাজ করে কিন্তু
মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাথে এর মূল পার্থক্য হল এটি ইন্ডাস্ট্রিতে হাই পাওয়ার
কন্ট্রোলিং সিস্টেমকে কন্ট্রোল করতে ব্যবহৃত হয় অন্যদিকে
মাইক্রোকন্ট্রোলার লো পাওয়ার এবং সুক্ষ কন্ট্রোল সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে
ব্যবহৃত হয়।
|