9:46 PM ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত সহায়ক ডিভাইস সমূহ সম্পর্কে জানুন |
ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত সহায়ক ডিভাইস সমূহ সম্পর্কে জানুনলেখাটি আপনার পছন্দ হয়েছে?
‘আসুন ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত ডিভাইস সমূহ সম্পর্কে জানি’ এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত প্রধান ডিভাইস হিসেবে মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, এবং পিএলসি সম্পর্কে জেনেছিলাম। আমরা এখন ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত সহয়ক ডিভাইস সমূহ সম্পর্কে জানব।
ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত সহয়ক ডিভাইস সমূহ: ইলেকট্রনিক ব্রেইন তৈরিতে ব্যবহৃত সহয়ক ডিভাইস হিসেবে RAM, ROM, সেন্সর, A/D এবং D/A কনভার্টার, কাউন্টার, Relay ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
RAM : RAM হল Random-Access Memory। নাম থেকেই বোঝা যায় এটি একটি মেমরি ডিভাইস । আমরা যারা কম্পিউটারের গঠন সম্পর্কে সামন্য ধারণা রাখি তাদের কাছেই RAM শব্দটি অতি পরিচিত। মূলত মাইক্রোপ্রসেসর যে সকল ডাটা নিয়ে কাজ করে তা প্রাথমিকভাবে RAM এ জমা হয়। আমরা সবাই জানি যে কম্পিউটারের কোন লেখা Save না করলে পাওয়ার সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হলে গেলে সেই লেখাটিকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। এর একমাত্র কারণ RAM। RAM এ সংরক্ষিত ডাটা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিগ্ন ঘটলে মুছে যায়। RAM যে শুধুমাত্র কম্পিউটারেই ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন কন্ট্রোলিং ডিভাইস এমনটি মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরেও RAM থাকে।
ROM: ROM হল Read only Memory। RAM এর মত এটিও এক ধরণের মেমরি। কিন্তু RAM এর সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে, বিদ্যুৎ প্রবাহে বিগ্ন ঘটলে RAM এ সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায় কিন্তু ROM এ সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায় না। এ কারণেই ROM স্থায়ী স্মৃতি বা মেমরি বলা হয়। তবে সাধারণ ROM এ মাত্র একবারই ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। তবে EEPROM এ অসংখ্যবার ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। সেন্সর: সেন্সর এমন এক প্রকার ডিভাইস যা এক প্রকার এনার্জিকে অন্যপ্রকার এনার্জিতে রূপান্তর করতে পারে। যেমন তাপমাত্রার পরিবর্তন, অবস্থানের পরিবর্তন, আলোক রশ্মির পরিবর্তন ইত্যাদিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর করা । বিভিন্ন ধরণের সেন্সর রয়েছে যেমন কন্টাক্ট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, টাচ সেন্সর, ইনফ্রারেড, ফটো ট্রানজিষ্টর, ফটো ডায়োড, অন্যান্য ভিসন সেন্সর ইত্যাদি। A/D এবং D/A কনভার্টার : মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলার, RAM, ROM ডিজিটাল ডাটা নিয়ে কাজ করে তাই কখনো কখনো এনালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে এবং কখনো কখনো ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগ সিগন্যালে রূপান্তর করতে হয়। এনালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করার জন্য A/D কনভার্টার আর ডিজিটাল সিগন্যালকে এনালগ সিগন্যালে রূপান্তর করার জন্য D/A কনভার্টার ব্যবহার করা হয়।
কাউন্টার: কাউন্টার এমন এক প্রকার ডিভাইস যা ইনপুটে প্রযুক্ত বৈদ্যুতিক পালস সংখ্যা গণনা করতে পারে। ইলেকট্রনিক ব্রেইন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর, মাইক্রোকন্ট্রোলারের অভ্যন্তরেও কাউন্টার থাকে আবার আলাদা ভাবেও এটি ব্যবহৃত হয়। Relay: রিলে এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সুইচ। এতে একটি সলিনয়েডের কুন্ডলী বা কয়েল থাকে। সচরাচর এতে একটি SPDT (Single pole double throw) সুইচ থাকে। সাধারণ অবস্থায় (যখন কয়েলে নির্দিষ্ট পরিমান ভোল্টেজ প্রদান করা হয় না) এ সুইচের দুটি কন্টাক্ট পয়েন্টের একটির সাথে pole টি যুক্ত থাকে । যখন কয়েলে প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ প্রদান করা হয় তখন pole টি অপর কন্টাক্ট পয়েন্টের সাথে যুক্ত হয়। relay এর মাধ্যমে কম মানের ভোল্টেজ দ্বারা বেশি ভোল্টেজে অপারেট হয় এমন ডিভাইসকে সুইচিং করা হয়। |
|
Total comments: 6 | |||||||
| |||||||