Home » 2011 » January » 2 » Hepataitis B
11:54 PM
Hepataitis B
অনেক দিন আগে লেখাটা টুকে রেখেছিলাম। তবে কোথা থেকে সেটা মনে পড়ছে না।
আজ ডায়রির পাতা উল্টাতে উল্টাতে হঠাৎ চোখ পরতেই ভাবলাম, সবার সাথে সেয়ার করি। তবে লেখকের নামটা মনে নেই, তার বিনা অনুমতিতে দেয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। যা হোক এবার আসল কথায় আসি।

হেপাটাটিস- সি ভাইরাসের সংক্রামনের ফলে লিভারে যে প্রদাহ হয় তাকে সি- হেপাটাইটিস বলে। এটা প্রধানত রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সেলুনগুলোতে একই রেজার, ক্ষুর, ব্লেড একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, ফলে অনেকেই না জেনে সহজেই এ রোগের শিকার হচ্ছেন।

বাংলাদেশে হেপাটাইটিস- সি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। বিশ্বে এই কঠিন রোগে প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীব্যাপী এটি একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নত।
এই রোগ হেপাটাইটিস- বি'র চেয়েও মারাত্বক, কারন এই রোগের লক্ষনগুলো দেরিতে ধরা পড়ে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগের শেষ পর্যায়ে তথা লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার হওয়ার পর বুঝা যায়। সর্বপরি এই রোগের কোন ভ্যাকসিন আবিস্কৃত হয়নি।

যাদের মধ্যে এ রোগ বেশি হয়_

১। নিরীক্ষবিহীন রক্ত ও রক্তের উপাদান পরিসঞ্চালন করার মাধ্যমে প্রধানত এই রোগ ছড়ায়।
২। নাপিতের মাধ্যমে এক ব্লেড, রেজার, ক্ষুর বিভিন্ন জনে ব্যবহার করার মাধ্যমে।
৩। ইনজেকশনের মাধ্যমে, যারা নেশা গ্রহন করেন।
৪। স্বাস্থ, সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা যারা রক্তের সংস্পর্শে আসেন যেমন- শল্য চিকিৎসক, ডায়ালাইসিস ইউনিটের কর্মীরা, দাঁতের দাক্তার, সেবিকা ও ধাত্রীগন।
৫। রোগাক্রান্ত মায়ের সন্তানও সংক্রমিত হতে পারে।
Views: 490 | Added by: zazafee | Rating: 0.0/0
Total comments: 0
Name *:
Email *:
Code *: